যাদের মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন বা এপিলেপ্সীর সমস্যা আছে তাঁরা বাড়িতে ফ্লুওরোসেন্ট বাল্ব লাগাবেন না।

traditional incandescent বাল্বে নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহে আলো নি;সৃত হয়। পক্ষান্তরে ফ্লুওরোসেন্ট বাল্বে স্ট্রোব (strobe) ইফেক্ট হয় - অর্থাৎ এই ধরণের বাল্বে সারাক্ষণ ফ্লিকার হতে থাকে। এটা খালি চোখে দেখা যায়না বলে অনেকেই বুঝতে পারেনা। (আমাদের ব্রেন সেকন্ডে ৬০ সাইকল বুঝতে পারে, কিন্তু আধুনিক CFL বাল্বের রিফ্রেশ রেইট হলো সেকেন্ডে ১০,০০০ থেকে ৪০,০০০ সাইকেল) এই চোরাগোপ্তা ফ্লিকারিং বা ভাইব্রেশনের কারণে কিছু শারিরীক অসুবিধা দেখা দিতে পারে।

CFL-এ দীর্ঘ দিন থাকলে মাইগ্রেণ রূগির মাইগ্রেন এ্যাটাক হতে পারে। মৃগী রোগী হঠাৎ এপিলেপ্টিক এ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়াও সুস্থ মানুষের ছোটোখাটো মাথা ব্যাথা, অবসাদ, বমি বমি ভাব বা মাথা ঘুরানো বোধ হতে পারে। এমনকি লুপাস রোগীরা এই আলোতে বেশিক্ষণ থাকলে শরীরে ব্যাথা অনুভব করেন বলেও শোনা গেছে।

তবে এই অসুবিধাগুলো বেশি হয় পুরণো প্রযুক্তির ফ্লুওরোসেন্ট বাল্ব - মানে বাজারের ম্যাগনেটিক ব্যালাস্ট-ওয়ালা "টিউব লাইট"-এ। আধুনিক compact fluorescent light (CFL)-এ এটা অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে।

তারপরও CFL-এর কিছু অসুবিধা তো আছেই - যে কারণে এখন CFL বাদ দিয়ে LED-based বাল্ব বানানোর চেষ্টা করছেন ব্রিটিশ রিসার্চাররা।

এক জায়গায় দেখলাম, CFL বাল্বে নাকি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী রেডিয়েশন করে - এই রেডিয়েশনের কারণে শারিরীক সমস্যাগুলো হতে পারে। এটা টেস্ট করার একটি সহজ টেকনিক আছে - জ্বলন্ত CFL বাল্বের কাছে একটি AM radio চালিয়ে কোনো এক্সট্রা স্ট্যাটিক শুনতে চেষ্টা করুন। নয়েজ থাকলে বুঝবেন আপনার বাল্বে রেডিয়েশন হচ্ছে। তবে এই রেডিয়েশনের পরিমাণ নাকি মোবাইল বা কম্পিউটারের চাইতে কয়েকগুণ কম।

এছাড়া কিছু নান্দনিক ব্যাপারও এখানে জড়িত। কালার টেম্পারেচার এ্যানালাইসিস করে দেখা গেছে, ভালো মানের CFL বাল্বের রেটিং ২৭০০ কেলভিন - এই বাল্বগুলো কালার স্পেক্ট্রামের লাল/হলুদ দিকের আলো বিচ্ছুরণ করে। এই ফ্রিকোয়েন্সীর আলো দৃষ্টি নন্দন। তবে কম দামী বা পুরণো প্রযুক্তির CFL বাল্বের রেটিং ৫,০০০ কেলভিন - এরা একটু বিরক্তিকর সাদা/নীল আলো বিচ্ছুরণ করে।