১০৩ বছর আগে আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট) ক্ষুদিরামকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ছবিটি ফাঁসিতে ঝুলানোর কিছুক্ষন আগে তোলা। ফাঁসিতে ঝুলানোর সময়ও তার মুখে হাসি লেগেছিল। // একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি/হাসি হাসি পরবো ফাঁসি। // দেখবে ভারতবাসী//

ক্ষুদিরাম বসু (১৮৮৯-১৯০৮) ভারত উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে আগস্ট ১১, ১৯০৮ এ তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

ক্ষুদিরামের জন্ম হয় ৩ ডিসেম্বর, ১৮৮৯, অবিভক্ত বাংলার মেদিনিপুর জেলার বহুভাইনি গ্রামে। তাঁর পিতা, ত্রৈলোক্যনাথ বসু নাদাজোলের স্থানীয় জমিদারের তহশীলদার ছিলেন। ক্ষুদিরামের মাতার নাম লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী। অল্প বয়সেই মাতাপিতাকে হারিয়ে বড় বোনের কাছে লালিত পালিত হন। শিক্ষা জীবন শুরু করেন তমলুকের হ্যামিল্টন স্কুলে। পরবর্তীকালে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল পড়ার সময় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সান্নিধ্য লাভ করেন। ১৯০২ সনে যূগান্তর দলে যোগ দিয়ে বিপ্লবী কর্মকান্ডে মনোনিবেশ করেন।


শেষ দৃশ্যঃ

১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ভোর পাঁচটায় আজকের এই দিনে ব্রিটিশ সরকার ১৮ বছরের এক তরতাজা যুবককে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করাল। কারাফটকের বাইরে তখন হাজারো জনতার কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগান। ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে কারা কর্তৃপক্ষ যুবকটির কাছে জানতে চাইল, মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ ইচ্ছা কী? যুবকটি এক সেকেন্ড অপেক্ষা না করেই নিঃশঙ্কচিত্তে বলে উঠলেন, ‘আমি ভালো বোমা বানাতে পারি, মৃত্যুর আগে সারা ভারতবাসীকে সেটা শিখিয়ে দিয়ে যেতে চাই।’ উপস্থিত কারা কর্তৃপক্ষ সেদিন বিস্মিত হলো যুবকটির মানসিক দৃঢ়তা আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রতি তীব্র ঘৃণাবোধ উপলব্ধি করে। সেদিনের সেই যুবকই হচ্ছেন অগ্নিযুগের মহান বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসু।